মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার (৮ জনুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামের ডুমুরিয়া এলাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মাস্টার আব্দুর রহিম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামের আঃ নুর (৪৫), আলমগীর (৩৮), পারভিন (৪০), শামসুদ্দিন গাজী (৭০), আলতাফ হোসেন (৩৫), ফজিলা (৪০), শরিফা (৩০), ওয়াজেদ (৫৫), মহিদুল সরদার (৪৮), আবদুল্লাহ (৩০) ও মোস্তফা (৪৫)।
আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বাকিদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে গাবুরার স্থানীয় হুদা মালি
জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস.এম আতাউল হক দোলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম মিজানুর রহমান শ্যামনগরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে যায়। এসময় রহিম মাস্টারের সমর্থকরা মিজানকে উদ্দেশ্য করে নৌকার পক্ষে কাজ না করায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মিজান প্রতিবাদ করতে গেলে রহিম মাস্টারের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালায়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি আহত মিজানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এসময় মিজানের সাথে থাকা মোটর সাইকেল চালক আমিনুর রহমানকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে মিজান সমর্থকরা এলাকায় ফিরে রাতে রহিম মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১১জন আহত হন।
খবর পেয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন হাসপাতালে চিকিৎসারতদের দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে বলেছি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে পুরস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর