বুধবার, জানুয়ারী ১০, ২০২৪
রাকিবুল ইসলাম, ডিআইইউ প্রতিনিধিঃ
বিদায়ী বছরের হতাশা ও বঞ্চনাকে ছাপিয়ে মনকে প্রফুল্ল করে তোলে নতুন বছর। নতুন দিনের আগমন, নতুন করে গন্তব্য। নতুন প্রাণচাঞ্চল্য, নতুন শপথ সব কিছুই যেন একাকার হয় নতুন বছর এলেই। নতুন বছরে আশা-প্রত্যাশা, চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এমনই কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ভাবনা-চিন্তার কথা তুলে ধরেছেন রাকিবুল ইসলাম।
শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি দরকার
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা আইরিন জানান, নতুন বছরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আর চাকরি ব্যবস্থার উন্নতি হোক এটাই চাই৷ শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু নতুনত্ব আনা দরকার। যেমন এখন যেগুলো পড়ানো হয় সেগুলো যদি প্রাক্টিক্যালি বোঝানোর ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভালো হবে৷ অযথা সিলেবাস না বাড়িয়ে স্বল্প সিলেবাসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ানো উচিত।
ভার্চুয়াল জগত থেকে বের হওয়া দরকার
ওই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শান্তা ইসলাম জানান, আমরা সবাই প্রতিবছরের ন্যায় হাজারও আশা-প্রত্যাশা, স্বপ্ন-সম্ভাবনার প্রত্যয় নিয়ে হয়ত বা নতুন বছরের যাত্রা শুরু করি। নতুন বছরে অনেক আশাই থাকে। তবে নতুন বছরের চাওয়া কি হতে পারে তা যদি বলি তাহলে বলবো অনলাইন ক্লাস আর চাই না। কারণ অনলাইন ক্লাস করতে আমরা শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হয়। অথচ ক্যাম্পাসে ক্লাস করতেই সবার ভালো লাগে। সবার সাথে সবার মেলবন্ধনও অটুট থাকে। এছাড়া অনেকসময় শিক্ষকরা অনলাইনে মাঝে মাঝেই এসাইনমেন্ট দিয়ে দেয়, যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক কষ্টকর হয় বিষয়গুলো বুঝতে পারা। এই বিষয়গুলোর পরিবর্তন দরকার। এছাড়া ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়ন, রাস্তা সমস্যা সমাধানসহ যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত রুটের ব্যবস্থা করা খুবই দরকার বলে আমি মনে করি।
সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য আরও দৃঢ় হোক
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রেয়া কেথি জানান, কালের ঘূর্ণাবর্তে আমাদের থেকে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। আশা-নিরাশার মাঝেই কাটল গত হয়ে যাওয়া বছরটি। সেই সঙ্গে পাওয়া না পাওয়া তো আছেই। এসব হয়তো অঙ্ক কষে মেলানো দায়। মানুষে মানুষে ভালোবাসা কমেছে, অভিমান জন্মেছে পর্বতের ন্যায়। মূল্যবোধে ধরেছে খুনের পোকা। পুরোনো বছর খুব একটা ভালো যায়নি। তবে নতুন বছর নতুনভাবে ভাবতে চাই, অনেক ইনজয় করতে চাই। বিগত দিনগুলোর কথা ভুলে সবাই মিলেমিশে একসাথে এগিয়ে যেতে চাই।
এগিয়ে চলুক তারুণ্যের শক্তি
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল মুহিব বিল্লাহ জানান, বর্ষ পরিক্রমায় যুক্ত হলো আরও একটি পালক। তাইতো প্রত্যাশা রক্তের হোলি খেলায় নয়, গতিময় জীবনের ফানুস উড়িয়ে নবীনরা বরণ করে নিয়েছে '২০২৪' কে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে তরুণদের প্রতিভা, উদ্যম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। স্বপ্ন দেখি, যুবসমাজ হবে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধে দীপ্ত। মাদক, অপরাধ কিংবা হতাশার কাফনে দিকভ্রান্ত নয়, বরং পরিশ্রম আর সততার সোপানে অসম্ভবকে সম্ভব করবে তরুণদের এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী।
এমআই