স্পোর্টস ডেস্ক:
বিপিএলের দশম আসরের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। ম্যাচে টস জিতে সাকিবের রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় তামিমের বরিশাল। আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকেছে রংপুরের ব্যাটাররা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলেছে রংপুর। বরিশালের হয়ে ৪ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। সাকিবদের হারাতে তামিমদের দরকার ১৩৫ রান।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় রংপুর। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ ইমরান। বাঁহাতি এই পেসারের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। প্রথম বলে উইকেট হারালেও পরের ৫ বলে ১৩ রান তুলে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় রংপুর। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। খালেদ আহমেদের বলে ইমরানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৭ বলে ৫ রান। তার বিদায়ে ১৪ রানেই ২ উইকেট হারায় রংপুর। দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৩ বলে ২ রান করে খালিদ আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
সাকিবের পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৯ বলে ৬ রান করে দুনিথ ভেল্লালাগের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর। ৩১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন নুরুল হাসান ও শামীম হোসেন। তারা জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তবে তারাও ব্যর্থ নিজেদের জুটিকে বড় করতে।
দলীয় ৬৫ রানে শোয়েব মালিকের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান নুরুল হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ২৩ বলে ২৩। তার বিদায়ে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর। এরপর মিরাজের ঘূর্ণিতে মোহাম্মদ নবিও ১০ রানেই ফেরেন। শেষদিকে শেখ মেহেদীর ১৯ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় রংপুর। বরিশালের হয়ে ৪ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
রংপুর রাইডার্স একাদশ: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, শেখ মেহেদী, হাসান মাহমুদ, রনি তালুকদার, শামীম পাটোয়ারী, হাসান মুরাদ, আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ নবী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ব্রেন্ডন কিং ও সালমান এরশাদ।
ফরচুন বরিশাল একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শোয়েব মালিক, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ ইমরান, দুনিথ ওয়েলালাগে।
এমআই