আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
রামসার কনভেনশন চুক্তি অনুযায়ি ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র হুমকিতে। লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, খালে বিষ প্রয়োগ, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার এবং দখল-দূষনে বিপর্যস্ত সুন্দরবন। সুন্দরবন জলাভূমি হলো অনন্য ইকোসিস্টেম যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন ও জলবায়ু সংকট থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষা করুন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মোংলার কাপালিরমেঠ বিলে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
”সুন্দরবন রক্ষায় আমরা” এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ'র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সুতপা বেদজ্ঞ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, গীতিকার মোল্লা আল মামুন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার জেলে সমিতির নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র কমলা সরকার, হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী ফাতেমা জান্নাত, মারুফ বিল্লাহ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন জল পরিশোধন, উপকূল সুরক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রন, বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল এবং কৃষি ও পর্যটন শিল্প বিকাশে জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারা বিশ্বের এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য জলাভূমির উপর নির্ভর করে; যা পৃথিবীর প্রতি ৮জনের মধ্যে ১জন। বক্তারা বলেন ১৯৯২ সালে ”সুন্দরবন” প্রথম ও ২০০০ সালে "টাঙ্গুয়ার হাওর" কে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান হিসেবে জলাভূমি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৭ থেকে ৮ লাখ হেক্টর ভূমি কোন না কোন ভাবে জলাভূমির অর্ন্তভূক্ত। যা আমাদের মোট আয়তনের ৫০ ভাগ।
সুন্দরবন রক্ষায় আমরা'র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশের রয়েছে অত্যন্ত সমৃদ্ধ জলাভূমি ও জীববৈচিত্রের ভান্ডার। মানব ও প্রকৃতির মুক্তির স্বার্থেই সুন্দরবন জলাভূমি সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
সময় জার্নাল/এলআর