জেলা প্রতিনিধি:
মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইসলামের মর্মবাণী সর্বত্র পৌঁছে দিতে দলে দলে টঙ্গীর তুরাগতীরে ইজতেমা ময়দানে ছুটছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। মোনাজাতের আগে গোটা ইজতেমাস্থল দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধান ও রাসুল (সঃ) প্রদর্শিত তরিকা অনুযায়ী জীবন গড়ার আহ্বান জানিয়ে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জিকির আসকার, ইবাদত বন্দেগি আর পবিত্র কোরআনের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার তিন দিন অতিবাহিত হচ্ছে আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি)।
রোববার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপার্শ্বে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ এ তাৎপর্যপূর্ণ মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ইজতেমার আয়োজকরা ধারণা করছেন।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়েতি বয়ান। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক হেদায়েতী বয়ান করবেন। পরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা নসিহতমূলক কথা বলবেন। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল ছুটেছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে যাচ্ছেন। শনিবার রাত ১২টা থেকে যানবাহন চালাচল বন্ধ থাকায় অনেক মুসল্লি হেঁটে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে খিত্তায় খিত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মুসল্লিরা যাতে খুব দ্রুত এবং নিরাপদে ময়দান ত্যাগ করতে পারেন সেজন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর