মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় চিংড়ি চাষ করতে পারছে না নারী চাষীরা

রোববার, ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪
ঘুষের টাকা না দেওয়ায় চিংড়ি চাষ করতে পারছে না নারী চাষীরা

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিনিধি: 

জেলার মোংলায় মৎস্য অফিসের মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে চিংড়ি চাষীদের কাছে উৎকোচ ও কমিশন বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দাবিকৃত কমিশন বানিজ্যে সাড়া না দেওয়ায়  সরকারি বরাদ্ধের টাকা তুলতে পারছে না ক্লাষ্টার নারী চিংড়ি  চাষিরা। এতে মৌসুম শুরু হলেও চিংড়ি ঘের প্রস্তুতসহ রেনু সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। 

এমন অভিযোগ তুলে ধরে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কাইনমারী বাগদা চাষি ক্লাষ্টার-১ গ্রুপের নারী সদস্যরা। সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে  বাগদা চিংড়ি চাষি ক্লাষ্টার-১ গ্রুপের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ২০২৩ সালে সরকারিভাবে ২৫ জন নারী বাগদা চিংড়ি চাষের প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।

পরে উপজেলা মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে তারা সফলভাবে মৎস্য চাষ করে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাদের মাছের পোনা নষ্ট হওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এসব নারীরা। এ অবস্থায় সরকারিভাবে মৎস্য চাষে তাদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ' সাসটেইনেবল কোষ্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ' প্রকল্পের টাকা চাইতে গেলে  মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিন উড়ে এসে জুড়ে বসেন। চাষীদের জন্য ওই প্রকল্পের আওতায় চার লাখ টাকা অগ্রণী ব্যাংক মোংলা শাখায় জমা আছে। 

এই টাকা ছাড় করাতে হেলাল উদ্দিন এক লাখ ঘুষ দাবি করে বসেন। চাহিদাকৃত ওই ঘুষের টাকা এখন পর্যন্ত না দেওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অসহায় এসব নারী মৎস্য চাষীরা বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় মৌসুমের শুরুতে এখনও তারা ২৫ টি চিংড়ি ঘেরে বাগদার রেনু পোনা ছাড়তে পারেনি। 

এছাড়া মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিনকে ২০২৩ সালে 'সাসটেইনেবল কোষ্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ' প্রকল্পের ১২ লাখ টাকা ছাড় করাতে প্রায় তিন লাখ ঘুষ দিয়েছেন বলেও নারী চাষীরা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সদ্য যোগদান করা মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি বলেও জানান তারা।

মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিনের ভাষ্য নারী চাষীরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছেন, তিনি নির্দোষ দাবি করেই ফোনের সংযোগ কেটে দেন। 

এ বিষয়ে জানতে মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন করলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল