জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার ( ৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ সৈয়দ নজরুল প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ করে।
এসময় তারা "জাবিতে ধর্ষক কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই", "ধর্ষক তৈরির কারখান জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও", "শিক্ষা- ছাত্রলীগ,একসাথে চলে না", "আমার বোন ধর্ষন কেন,শেখ হাসিনা জবাব চাই", "ছাত্রলীগের কালো হাত,জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও", " রুখে দিতে ধর্ষন,রাবি করো গর্জন" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
বিক্ষোভ মিছিলে পরবর্তী সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ধর্ষন করার জন্য চাই ক্ষমতা,তাদের ক্ষমতা থাকার কারণে তারা ধর্ষন করে। সারাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তারা সবখানে দখলদারিত্ব করতেছে। র্তমানে একটি সংগঠন ধর্ষক তৈরীর কারখানা পরিণত হয়েছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।
ছাত্র ফেডারেশন আহবায়ক রায়হান আলী বলেন,৷ প্রতিবাদ করতে এসে ছাত্রলীগ আমাদের বাঁধা দিতে আসছে। আমাদের এখন বিচার দিতে হয় শেখ হাসিনাকে কারণ বিচার বিভাগ তার আয়ত্তে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর, সিলেট এমসি কলেজে যারা ধর্ষন করেছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক। জবাবদিহিতার উর্ধ্বে সকল কিছু উঠে গেছে। যার কারণে তারা বারবার ধর্ষন করে যাচ্ছে।
নাগরিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্য়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, তারা অপকর্ম করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নিতে পারে না। হলে সিট বানিজ্য করার লাইসেন্স থেকে শুরু করে ধর্ষন করার লাইসেন্স প্রশাসন তাদেরকে দিয়ে দিছে। যার ফলে তার বারবার অপকর্ম করে যায়। তার আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চেপে রাখতে চাই। আমাদের সকলকে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র সংগঠনের সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ধর্ষক উৎপাদনের প্রধান কারণ বিচার না হওয়া। বিচার না হওয়ার কারণে তারা পার পেয়ে যায়। যার ফলে তারা বারবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগকে তারা আয়ত্ত নিয়ে আসছে। বিচার বিভাগকে আলাদা করে দিতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় এনে ধর্ষকের বাংলাদেশ থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার পিরিয়ে এনে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
এসময় শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয় এবং তাদের স্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর