বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪
স্পোর্টস ডেস্ক:
৪ উইকেটে ১৭৯ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। তখন কিউইদের লিড ৫২৮ রানের। আজ চতুর্থ দিনে আর ব্যাটিং করতে নামেনি নিউজিল্যান্ড। ইনিংস ঘোষণা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিকরা।
৫২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নতুন দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে ২৪৭ রানে। ফলে ২৮১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রানের হিসেবে এটি তাদের দ্বিতীয় বড় জয়। এর আগে দ্বিতীয় বড় জয়টি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৬ সালে। ওই ম্যাচে কিউইরা জয় পেয়েছিল ২৫৪ রানে।
রানের হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়টি ৪২৩ রানের, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৮ সালের ওই ম্যাচে লঙ্কানদের ৬৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কিউই। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জবাব দিতে নেমে লঙ্কানরা গুটিয়ে গেছে ২৩৬ রানে।
চলতি সিরিজে মাউন্ট মঙ্গানু্ইয়ে এই ম্যাচে ৬ অভিষিক্ত ক্রিকেটারকে নিয়ে সাজানো দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে এই ইনিংসেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। দুই ইনিংস মিলিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা এক ইনিংসের রান করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা করেছে মাত্র ১৬২ রান।
আজ বুধবার ব্যাট করতে নেমে ৫ রান করতেই ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর যোবায়ের হামজাও রাইয়ার্ড ফন টন্ডারের ৬৩ রানের জুটিতে কিছুটা পথ সামনে হাঁটে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কিউই পেসার কাইল জেমিসন তাদের বেশিদূর এগুতে দেননি। টন্ডারকে ৩১ রানে আর হামজাকে ৩৬ রানের মাথায় আউট করে দেন তিনি।
এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন কিগান প্যাটারনসন ও ডেভিড বেডিংহাম। ১৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি করেন তারা। যদিও জুটিতে প্রায় পুরো অবদানই বেডিংহামের। এই জুটিতে বেডিংহাম একাই করেছেন ৮৯ বলে ৮৬ রান। আর ১৬ রান প্যাটারসনের।
কিউইদের বিপক্ষে মূলত লড়াইটা করেছেন বেডিংহাম। তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংস মিলিয়ে একমাত্র ফিফটি করেছেন। ৯৬ বলে ৮৭ করে জেমিসনের তৃতীয় শিকার হন তিনি। ১৩ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ইনিংস সাজান বেডিংহাম।
শেষ উইকেটে কিছুটা দ্রুতগতিতে রান তুলেন রুয়ান ডি সোয়ার্ট ও ডেন প্যাটারসন। ২৪ বলে ২৪ রানের জুটি করে দলীয় ইনিংস ২৪৭ রানে ঠেকান তারা। সোয়ার্ট করেছেন ৫৬ বলে ৩৬। আর ডেন করেছেন ১৭ বলে ১৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৫১১ ও ৪৩ ওভারে ১৭৯/৪ (কেন উইলিয়ামসন ১০৯ , ডেভন কনওয়ে ২৯; নেইল ব্রান্ড ২/৫২, ডেন প্যাটারসন ১/৩৮, রুয়ান ডি সোয়ার্ট ১/৪৮)।
সময় জার্নাল/এলআর