বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪
মো. জাহিদুল হক, চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা। পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও দেখা গেছে তাদের। প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে জিরো পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয় বিক্ষোভ মিছিল।
এ সময় "লুচ্চা মতিনের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবেনা","প্রশাসন নিরব কেন, প্রশাসন জবাব চাই" এইসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে রসায়ন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার বলেন, প্রশাসন থেকে আমরা আমাদের দাবি মোতাবেক কোন সিদ্ধান্ত পাচ্ছি না। আমাদের দাবি অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পেলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় একই বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন, আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। রেজিস্টার অফিস আদেশ জারি করে মতিনকে সাময়িক বহিষ্কার করলেও উক্ত আদেশে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। আমরা চাই রেজিস্টার আদেশে যৌন হারানি ও ধর্ষণচেষ্টার কথাটি উল্লেখ করে মতিনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক।
একই বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা আহাম্মেদ বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের দুইটি দাবি। প্রথমত হচ্ছে ধর্ষক মাহবুবুল মতিনকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। দ্বিতীয়ত প্রশাসনকে বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
এই ব্যাপারে বিশ্ববদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও চাই ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তুি হোক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সাথে সাথে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসতে সপ্তাহ খানেক লাগতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একটা মানুষের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত শাস্তি দিতে পারি না। অভিযুক্তের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে আমরা তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দিব।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩১জানুয়ারি) উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর এক শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের এক অধ্যাপক সম্পর্কে লিখিতভাবে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন। এর পর থেকে সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অনবরত আন্দোলন ও মানববন্ধন করে যাচ্ছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন।
এমআই