আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির কারাবন্দী নেতা ইমরান খান জাতীয় নির্বাচনে তার দলের সাফল্যের জন্য কর্মী ও সমর্থকদের অভিনন্দিত করে বলেছেন, 'ব্যাপক হারে ভোট প্রদান সবাইকে বিষ্মিত করেছে। তিনি আরো বলেন, ফরম-৪৫ ডাটা অনুযায়ী তার দল জাতীয় পরিষদে ১৭০টির বেশি আসন পেতে যাচ্ছে।
এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এআই-সৃষ্ট বক্তৃতায় শুক্রবার রাতে ইমরান খান তার সমর্থকদের বলেন, 'আপনার গতকাল [বৃহস্পতিবার] আপনাদের ভোট প্রদান করার মাধ্যমে প্রকৃত স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। সাধারণ নির্বাচন ২০২৪-এর বিজয়ের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দিত করছি।'
তিনি বলেন, 'আমি সম্পূর্ণভাবে আপনাদের বিশ্বাস করে বলেছি যে আপনারা সবাই ভোট দিতে আসুন এবং আপনারা আমার বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখেছেন। আপনাদের ব্যাপকভাবে ভোট প্রদান সবাইকে বিষ্মিত করেছে।'
তিনি আরো বলেন, 'ব্যাপকভাবে ভোট প্রদানের ফলে লাহোর পরিকল্পনা' ব্যর্থ হয়েছে।
এআই কণ্ঠে ৭১ বছর বয়স্ক ইমরান খান আরো দাবি করেন যে নিরপেক্ষ সূত্রগুলো বলছে যে পিটিআই জালিয়াতি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ১৫০টি পার্লামেন্টারি আসন নিশ্চিত করেছিল। তিনি আরো বলেন, গত দুই বছর ধরে নির্যাতন এবং অবিচার সত্ত্বেও পিটিআই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
তবে পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সরকার গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। এ জন্য তিনি তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাথে বৈঠক করেছেন।
ঘোষিত ২৪৫টি আসনের ফলাফল অনুযায়ী, ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই সমর্থিতরা, পিএমএল-এন ৬৯, পিপিপি ৫২ এবং অন্যরা পেয়েছেন ২৫টি আসন।
এছাড়া স্থগিত রাখা হয়েছে একটি আসনের ফলাফল আর ঘোষণার বাকি রয়েছে ২০টি আসন।
পিপিপি সূত্রে জানা গেছে, পিএমএল-এন নওয়াজ শরিফ ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি শুক্রবার লাহোর এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সরকার গঠনে কোয়ালিশনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
২০২২ সালে পিটিআই প্রধান ইমরান খান ক্ষমতা থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর গঠিত পিডিএম সরকার যৌথভাবে গঠন করেছিল পিএমএল-এন ও পিপিপি।
পাকিস্তানে সরকার গঠন করার জন্য অন্তত ১৩৩টি আসনের প্রয়োজন। ৩৩৬ আসনবিশিষ্ট পাকিস্তান পার্লামেন্টে গতকাল ২৬৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ৭০ আসন সংরক্ষিত। এছাড়া চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনও গতকাল হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর