রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় জড়িত মুলহোতা দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারের পর প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত শরিফুল ইসলাম সোহানের স্ত্রী রোজিনা পারভীন বাদী হয়ে সদর থানায সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দু, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ ও স্বাধীনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নামে মামলা দাযের করে। শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহান হত্যাকান্ড ঘটে। ঘটনার পরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু ও পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনান সাথে জড়িত বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুন্নবী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্রেখ্য, শুক্রবার সন্ধায় জেলার খলিলগন্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনমন সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট জিপগাড়ীতে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দলবল নিয়ে এসে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। সোহান কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য।
এমআই