মো. জাহিদুল হক, চবি প্রতিনিধি:
বসন্তের আগমনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইআর) এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে 'বসন্ত উৎসব' ও 'ফাগুন সম্ভাষণ'।
১৫ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আমির উদ্দিন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলাউদ্দীন আল বোখারি ও ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহসিনা আক্তার। ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম ব্যাচ থেকে সর্বশেষ ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বসন্ত উৎসবে গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠায় সজ্জিত ছিলো মোট এগারোটি স্টল।
প্রত্যেকটা স্টলের ভিন্ন ভিন্ন নাম ছিলো।
স্টলগুলো ছিলো পিঠার সরোবর, পঞ্চকোষের পিঠাপুরান, ফাগুন সমীরণে, বসন্তের বর্ণিল পিঠা, আলপালনি, শেষ অয়াগেল, বসন্তের পিঠার ঝুড়ি।
স্টলগুলোতে ঐতিহ্য বাহী পিঠার সাথে ছিলো ঐতিহ্যবাহী নানা মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। পিঠাগুলোর নাম হলো, পাটিসাপ্টা, নবাবী সেমাই, পানতুয়া, পিঠাপুলি, দুধ চিতুই, জর্দা, সুজির রসমালাই, আইসক্রিম পিঠা, মালাই রোল, পুলি পিঠা, সুন্দরী পিঠা, নুডলস পকোড়া ইত্যাদি।
বিকেল পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে গান, নৃত্য পরিবেশনা, একক নৃত্য, স্ট্যান্ড আপ কমেডি, শ্রুতি নাটক, মাইম, কোরাস নিয়ে সাজানো হয়েছে এসেছে বসন্ত, রাঙ্গিলো ধরা, হারানো শৈশবে শিক্ষা পাড়া।
আইইআর এ্যালামনাইয়ের সিনিয়র সদস্য সাইফুল্লা খালেদ বলেন, আমাদের একসাথে উৎসবে অংশগ্রহণ নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে । এ্যালামনাইয়ের অনেক সদস্য একসাথে হলে নতুন ভাবে কাজের উদ্দীপনা পাই। শিক্ষকবৃন্দের পাশাপাশি ৮ম ব্যাচের প্রতি রইল অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা । তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আজকের অনুষ্ঠান সফল হয়েছে।
স্টল ঘুরতে আসা রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফ হোসাইন বলেন, আইইআরের উৎসবে সারা ক্যাম্পাসে সাড়া ফেলে। ক্লাস শেষ করেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে চলে এসেছি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা বেশি উপভোগ করছি। পিঠাও খেয়েছি অনেকগুলো। এমন আয়োজন সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।
ইন্সটিটিউটের শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট ব্যাতিক্রমী শিক্ষার প্রাঙ্গণ। এখানে যেমন পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয় তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও উৎসাহ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আইইআরের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক উৎসব, ফাগুন উৎসব, পিঠা উৎসব সব সময় আয়োজন করে থাকে। এমন আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত করতে ভূমিকা রাখে।
এমআই