মো. জাহিদুল হক, চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মেয়াদোত্তীর্ণ চবি শিক্ষক সমিতির অবৈধ সাধারণ সভা বয়কট বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মামুন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা আহবানের কোন নৈতিক এবং আইনি বৈধতা না থাকায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ তথা হলুদ দলের পক্ষ থেকে আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহবান করা জরুরি সাধারণ সভা বয়কট করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পর্ষদের মেয়াদকাল এক বছর। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এ শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয় এবং ৭ ফেব্রুয়ারি চবি পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর মো: এমদাদুল হককে প্রধান করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য। এ কমিশন শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী পর্ষদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এমতাবস্থায় মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা আহবান করার কোন নৈতিক ও সাংবিধানিক বৈধতা নাই। তাই, হলুদ দলের পক্ষ থেকে এ অবৈধ সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে এজেন্ডা (আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের পারিতোষিক বৃদ্ধি) নিয়ে এ অবৈধ সভা আহবান করা হয়েছে, সে বিষয়ে হলুদ দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। হলুদ দল মনে করে আগামী ২ মার্চ থেকে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য সাধারণ শিক্ষকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে পারিতোষিক নির্ধারণ করেছেন, তা শিক্ষকদের জন্য একেবারেই সম্মানজনক হয়নি। তাই, হলুদ দলের পক্ষ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির আহবান করা অবৈধ সাধারণ সভা বয়কট করার পাশাপাশি আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের পারিতোষিক ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য অংশীজনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্মানজনক ও সমানুপাতিক হারে বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার শিক্ষক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরিদর্শন সম্মানী অসম্মানজনক হারে বৃদ্ধি এবং ভর্তি পরীক্ষার আয় ব্যয়ের হিসাবে বিদ্যমান অস্বচ্ছতা ও অসঙ্গতিকে কেন্দ্র করে মহান জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কর্তৃক ভর্তি পরীক্ষার নামে আয়কৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভাগবাটোয়ারা করা হচ্ছে মর্মে প্রদত্ত বক্তব্য ও তার আলোকে প্রকাশিত সংবাদসমূহের বিষয়ে আলোচনাপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনের আয়োজন করা হয়।
এমআই