স্পোর্টস ডেস্ক:
আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলকে প্লে অফের টিকিট এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। তবে এলিমিনেটরে এসে ব্যর্থ হলেন এই ওপেনার। তামিমের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। জশ ব্রাউন-টম ব্রুসরা ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাতে দেড়শ রানও স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি চ্যালেঞ্জার্সরা।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের হয়ে ২২ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন ব্রাউন।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ বলে ২ রান।
তিনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে ইমরানুজ্জামান। তবে এক প্রান্তে ভালোই খেলছিলেন জশ ব্রাউন। এই ওপেনার অবশ্য ফিরতে পারতেন ২০ রানেই। ইনিংসের ৫ম ওভারের ঘটনা। ওবেদ ম্যাকয়ের করা ওভারের পঞ্চম বলটি ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি জশ ব্রাউন। বল দূরত্ব না পেলেও অনেকটাই উপরে উঠে যায়, এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা তামিমক ইকবাল বলের নিচেই ছিলেন।
জায়গায় দাঁড়িয়েও বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তামিম। চলিত বাংলায় বলা যায়—ডাল-ভাত ক্যাচ ছিল, সেটাও হাতে জমাতে পারলেন না বরিশালের অধিনায়ক। তাতে ২০ রানে জীবন পান ব্রাউন।
অবশ্য তামিমের এই ভুলের খেসারত হিসেবে বড় কিছু গুণতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ম্যাকয়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন ব্রাউন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ম্যাকয়কে তুলে মারতে গিয়ে আরও একবার মিস টাইমিং হয় ব্রাউনের। এবার বল চলে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা ডেভিড মিলারের হাতে।
তামিম ভুল করলেও মিলার ভুল করেননি। সহজ ক্যাচ লুফে নেন এই প্রোটিয়া। তাতে ২২ বলে ৩৪ রান করে থেমেছেন ব্রাউন। তার এই ইনিংসে ২ চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।
ব্রাউনের মতোই ভালো শুরু পেয়েছিলেন টম ব্রুসও। তবে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এদিন শুভাগত হোমও ব্রুস-ব্রাউনদের পথে হেটেছেন। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৬ বলে ২৪ রান করে।
এরপর আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি। ফলে ২০ ওভার খেলেও দেড়শ স্পর্শ করতে পারেনি চট্টগ্রাম।
এমআই