নিজস্ব প্রতিনিধি:
এমন সকাল কখনো দেখেনি বেইলি রোডের বাসিন্দারা। অন্যান্য দিনের মতো বেইলি রোডে চলছে না গাড়ি। যদিও সাধারণ মানুষের চলাচল রয়েছে এ পথে। একটু পর পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে নেই গাড়ির হর্ন কিংবা রিকশার বড় জটলা।
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ভয়াবহ লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে। মাত্র দুই ঘণ্টায় আগুন লেগে প্রাণ গেছে ৪৩ জনের। দগ্ধ এবং আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ৪৩ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জনের অধিক। ভয়াবহ এ আগুনের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি ৬ তলা ভবনের আগুনে অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রয়টার্স আরও বলেছে, একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় যা পরে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে।
এ পথে যারা যাতায়াত করেন তাদের অনেকেই উদাস দৃষ্টিতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। অনেকে থেমে দেখছেন আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটিকে।
চামেলি বাগের বাসিন্দা আশিক বলেন, আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। রাতেই শুনেছি আমার বন্ধু আগুনে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে আছে। তাকে দেখতে যাওয়ার আগে স্থানটি দেখে গেলাম যেটা অর্ধশত মানুষকে কেড়ে নিয়েছে।
আসাদ নুর নামে অপর একজন বলেন, এখনও দেখে শরীর কেঁপে উঠছে। দুপুরবেলা আমি পরিবার নিয়ে এখানে খাবার খেয়েছি আর রাতের বেলা দুর্ঘটনা। আজ কতো মানুষের প্রাণ গেছে, আল্লাহ মাফ করুন।
সময় জার্নাল/এলআর