জোবায়ের আহমদ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
আমের মুকুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা ক্যাম্পাস। গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। মধুমাস ঋতুরাজ বসন্ত আসার আগাম বার্তা নিয়ে এসেছে আম গাছের মুকুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্ছের সামনে, পরিবহন অফিস সংলগ্ন, শাহজামান দীঘির চারপাশে, মান্নান হল পেছনে, একাডেমিক ভবনগুলোর সামনে ও রাস্তার ধারের গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেঁয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। শুধু যে আমের মুকুল তা নয়, গ্রীষ্মকালীন ফলের নানান জাতের গাছে ফুটে আছে ফুল। রয়েছে কাঁঠাল, লিচু এবং অন্যান্য ফলের সমারোহ।
মধুমাসের স্বাদ নিতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আম কুড়িয়ে শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যায়।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ঔঠেছে আমের বাগান। দেশের প্রতিটি জেলা- উপজেলায় দিন দিন বাড়চ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু আমের চাষ। বাণিজ্যিক চাষের দিকেও মনোযোগ দিয়েছে বর্তমানে শিক্ষিত ছেলে-মেয়ে, অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুভাবেও শুরু করছে আম চাষ।
একাউন্টটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেজবাহ মোস্তফা উচ্ছ্বাসিত হয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ক্লাস শেষে যখন শান্ত পরিবেশে গাছের ছায়ায় বসি, তখন আমের মুকুলের ঘ্রাণ পাগল করার মতো। ফিরে যায় সেই শৈশবে-যখন আম কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম, বৈশাখ মাসে যখন হঠাৎ বাতাসে ছোট্ট আমের কুড়ি মাটিতে পড়তো, কত্তো উচ্ছ্বাস নিয়ে দৌড়ে যেতাম।
এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ আশেপাশের এলাকার গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে।
এমআই