মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। চেয়ারম্যান পদে কারা প্রার্থী হতে যাচ্ছে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
এগারোটি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী কে চেয়ারম্যান হয়ে আসবেন সেই ভাবনা সাধারণ মানুষের মনে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেলান্দহ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী দিদার পাশা।
তিনি মেলান্দহ উপজেলার মেলান্দহ পৌর এলাকায় ১৯৬১ইং সালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত নূরল ইসলাম ছিলেন (মেলান্দহ-মাদারঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
শুধু তাই নয়, বড় ভাই রীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ইসমত পাশা সাবেক মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বর্ত
মানে তিনি জেলা বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক বড় ভাই রীর মুক্তিযোদ্ধা কিসমত পাশা সাবেক মেলান্দহ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি, নাংলা ইউনিয়নের ৪ বারের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপিতর দায়িত্ব পালন করছেন।
তার মামা মরহুম আঃ হাই বাচ্চু মিয়া ৩৪ বছর মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা হাজী দিদার পাশার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিচয় ১৯৭৭ সালে জামালপুর মহকুমা শাখা ছাত্রলীগের সদস্য থেকে রাজনীতি শুরু হয়। ১৯৭৮-৭৯ বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৭৯-৮০ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস, ১৯৮৫-৮৬ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ১৯৯৫-৯৭ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৯৯৮-২০০১ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ২০০৫-২০১৬ সাল পর্যন্ত মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন।
হাজী দিদার পাশা বলেন, আমার বাবা সংসদ সদস্য হয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। মামা উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে মেলান্দহবাসীর সেবা করেছেন। আমি নিজেও জনপ্রতিনিধি হয়ে মেলান্দহ পৌর বাসীর সেবাই নিয়োযিত ছিলাম। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি মেলান্দহ উপজেলাবাসীর সেবা করার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী থেকেই শিক্ষা নিয়েছিলাম রাজনীতি করতে হলে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থেকেই রাজনীতি করতে হবে। রাজনীতি ও জন প্রতিনিধি একে অন্যের পরিপূরক।
তিনি আরও বলেন, আমি মেলান্দহ উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। এ উপজেলাকে আধুনিক হিসেবে রূপান্তরিত করতে চাই। সামাজিক অবক্ষয় দূর করতে চাই। মাদক দূরে ঠেলে দিয়ে যুবকদের বিনোদনে উৎসাহিত করতে চাই। এ জন্য চাই দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া ও ভালবাসা।
উল্লেখ্য, তিনি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করাসহ করোনা মহামারির সময়ে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এতে করে তাঁর সুনাম আরো ছড়িয়ে পড়ে।
এমআই