পারভেজ শাহরিয়ার: দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এভাবেই তিলতিল করে ধ্বংস হচ্ছে। খুব সুক্ষ্ণ একটা পরিসংখ্যান। সাত কলেজের অনেক শিক্ষার্থী জানেই না কে কোন সেশনে পড়ে। করোনা এলো। এরই মাঝে পরিক্ষা নিলো। তারপর এলো দ্বিতীয় ঢেউ। তারপর নির্দেশ এলো ঘরে ঢুকো। ঢুকলাম।
এখন নির্দেশ এসেছে করোনা কমেছে। না না, তোমরা আন্দোলন করেছ। তাতেই টনক নড়েছে। এখন তাহলে পরিক্ষা নেই (পড়ুন সায়েস্তা করি)..। মানে কি একটা ব্যাপার। ভাই পরিক্ষা হলে ত খুশির সংবাদ। পরিক্ষা দিতে কত আনন্দ, কি দারুণ অনুভূতি কাজ করে। তো পরিক্ষা দিবে সবাই বুঝলাম। ক্লাসটা হলো কবে? কোথায়? কে নিলে?
সাত কলেজের কোনো শিক্ষক বুক চিতিয়ে বলতে পারবে - যে তার ছাত্রদের সিলেবাস শেষ করেছে! প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
আর অনলাইনে পরীক্ষা? এতো আরো বড় হাইস্যকর। কয়টা ক্লাস হয়েছে? জুমে কি হয়েছে ক্লাসের নামে তা দেশের প্রত্যেকটা ছাত্রের জানা। ভাবলেই চক্ষুচড়ক গাছ। আরে ভাই নীলক্ষেত তন্নতন্ন করে পুরো সিলেবাসের বইও ত পাবেনা শিক্ষার্থীদের। কি সিস্টেম দেয়, কিসের নির্দেশ…
লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ
সময় জার্নাল/এমআই