আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশক চলছে। শেষ হতে চলেছে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভের মহিমান্বিত এই মাসটি। আর তাই পবিত্র এই মাসের শেষ রজনীগুলো কাটাতে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা ও মদিনায় জড়ো হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মুসল্লি।
এই সময়টাতে তারা পবিত্র ওমরাহ, তারাবি এবং কিয়ামুল্লাইল নামাজে নিয়োজিত রয়েছেন। গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ লাখেরও বেশি মুসল্লি রমজানের শেষ রাতগুলোতে ইবাদতে মশগুল থাকতে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে জড়ো হয়েছেন।
রমজানের ২০ তম দিনে শুরু হওয়া পবিত্র এই মাসের সমাপ্তি পর্বে নাজাত লাভের আশায় বিপুল সংখ্যক এসব মুসল্লি ওমরাহ, তারারি এবং কিয়ামুল্লাইল নামাজে নিযুক্ত রয়েছেন।
গালফ নিউজ বলছে, পবিত্র ওমরাহ পালন ও ইবাদতে মশগুল থাকা মুসল্লিদের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার জন্য দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য কেয়ার অব দ্য গ্রান্ড মস্ক অ্যান্ড দ্য প্রফেট’স মস্কের মাধ্যমে বিস্তৃত অপারেশনাল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সৌদি আরবের সরকার।
গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই পরিকল্পনার মধ্যে বিস্তৃত পরিষেবার বিধান এবং নামাজ ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের সুবিধার্থে মানব ও প্রযুক্তিগত উভয় ধরনের প্রযুক্তির স্থাপন ও ব্যবহারও রয়েছে।
গালফ নিউজ বলছে, ২০০ সৌদি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ৪ হাজারেরও বেশি কর্মী এই দুই মসজিদে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
তারা ৩ হাজার ৫১৬টিরও বেশি টয়লেট, ৯ হাজার ১৫৫টি জমজমের পানির পাত্র পরিচালনার পাশাপাশি নামাজের হল ও আঙিনার জন্য ৩৫ হাজারেরও বেশি নতুন কার্পেট প্রস্তুতের কাজ করছেন।
এছাড়াও ওমরাহযাত্রী ও মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩ হাজার হাতের গাড়ি, ২ হাজার বৈদ্যুতিক যান এবং ৬ হাজার যানবাহন পুশারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে আধ্যাত্মিক ইবাদতের অংশ হিসাবে সফল অনলাইন নিবন্ধনের পর হাজার হাজার মুসল্লি ইসলামের পবিত্রতম এই দুই মসজিদে ইতিকাফ করছেন।
ইতিকাফের অর্থ হলো- নবী মোহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করে একজন মুসলমান শুধুমাত্র ইবাদত করার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করেন।
আরইউ