এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে রাতিন ষ্টোর ‘মুদি দোকানে’ এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুই সপ্তাহেও চুরির রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় আঃ ওয়াদুদ হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। এতে ওই বাজার ব্যসায়ীদের মধ্যে দিনদিন আতংকে বাড়ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে গত (২৯ রমজান ৯ এপ্রিল) গভীর রাতে রাতিন ষ্টোরের ৪টি তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও মালামাল হাতিয়ে নেয় চোরের দল।
ফারুক মৃধা ও হাকিম মোল্লা নামের দুই জন ওই রাতে বাজারে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ওই রাতে স্থানীয় ভ্যান চালক দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের বাচ্চু ফরাজী দেখতে পায় পাহারাদার হাকিম মোল্লা খালি গায়ে রাতিন ষ্টোরের সামনে দাড়িয়ে আছে। পরের দিন সকালে তিনি শুনতে পায় রাতিন ষ্টোরে চুরি হয়েছে। সে সুবাধে থানা পুলিশ ভ্যান চালক বাচ্চু ফরাজীকে স্বাক্ষী নিয়েছে ও জড়িত সন্দেহে পাহারাদার হাকিম মোল্লাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হাকিম মোল্লা ১০ দিনের মধ্যে চোরকে সনাক্ত করে নগদ টাকার উদ্ধারে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতির ২০ এপ্রিল তারিখ শেষ হলে পাহারাদার হাকিম মোল্লা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।
রাতিন ষ্টোরের মালিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আ.ওয়াদুদ হাওলাদার বলেন, তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে ১৫২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে আছি। এরকম চুরি পাহারাদার হাকিম মোল্লা পূর্বেও ঘটিয়েছে। চুরির ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পাহারাদারের স্ত্রী নারগীস বেগম বলেন, আমার স্বামী গত দুই দিন ধরে বাড়িতে আসেনা। মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গেছে। ২০ এপ্রিল থানায় বসার তারিখ ছিল।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই অভিযোগের (তদন্তকারি কর্মকর্তা) বিকাশ দত্ত বলেন, তেতুলবাড়িয়া বাজারের চুরির ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাহারাদার গা ঢাকার বিষয়টি শুনেছি। সে পালিয়ে থেকে পার পাবে না।
সময় জার্নাল/এলআর