সামুউল আলম:
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরজন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১০ মে শুক্রবার ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘সি’ ইউনিটে মোট ৪০ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে গুচ্ছভুক্ত যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের শুক্রবার সকাল ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘সি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ হাজার ৬২৯ টি আসন রয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ও ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে দুইটি ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ‘এ’ পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও ‘বি’ ইউনিটের পাশের হার ছিল ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘সি’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়েছে ৯৩৫ জন শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করবেন।
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ‘এ’ এবং ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করেছি। আগের পরীক্ষাগুলোতে কোথাও কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। আশা করি ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাও কঠোর নিরাপত্তা ও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সকল কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। কয়দিন আগেও যে তীব্র তাপদাহ ছিল তা এখন কমেছে। আশা করি পরীক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করবে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আপনারা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখবেন।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোর মতই কেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বা অসাধুপায় অবলম্বন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমি জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ স্ব স্ব এলাকার সকল স্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফল, নির্দেশনাসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
সময় জার্নাল/এলআর