নোমান ইমতিয়াজ, রাবি: ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট একটি সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য, তাবে এতে কাঠামোগত কিছু দুর্বলতা আছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকরা।
সোমবার (০৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনে ‘বাংলাদেশের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ বাজেটের সংক্ষিপ্ত লিখিত বিবরণ তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি সরকারি ব্যয়ের কর্মদক্ষতা বাড়ানো, করোনাকালীন সৃষ্ট দারিদ্র্য মোকাবিলা ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অধিকতর জোরদার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা রোধ, কৃষির বৈচিত্র্যকরণ, আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস এবং উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে রেল ও নদী উন্নয়নের সুপারিশ করেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘এবারের বাজেটকে পুনরুদ্ধার ও আগামীর পথে অগ্রযাত্রার বাজেট বলা হয়েছে। আমি এ বাজেটকে সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলব, একেবারেই খারাপ বলব না। তবে এর কিছু কাঠামোগত দুর্বলতা আছে। কিছু জায়গায় অর্থমন্ত্রী হয়তো নজর দিতে পারেননি। আবার সরকার এবার মেগা প্রজেক্টে বরাদ্দ বেশি বাড়ায়নি। আবার স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বেড়েছে, তবে গতবার কিন্তু সব খরচ হয়নি। রাজস্ব থেকে আয় বেশি ধরা হলেও এটা তেমন বাড়েনি।’
কালোটাকা সাদা করার সুযোগের ব্যাপারে অধ্যাপক আবদুর রশিদ সরকার বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যত দিন কালোটাকা থাকবে, তত দিন সাদা করার সুযোগ থাকবে। আমরা মনে করি, এটা থাকা উচিত নয়। বঙ্গবন্ধুর সময়েও এমন সুযোগ ছিল না। এটা অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ায়। আমাদের অনেককে বৈধ আয় থেকেই ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হয়। কিন্তু কালোটাকার মালিকেরা ১০ শতাংশ কর দিয়েই ছাড় পেয়ে যান।’
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/আরইউ