আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চারদিকে ধ্বংসস্তূপ। মাটির সঙ্গে মিশে আছে বসতঘর। ইসরাইলের হামলায় এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন অনেক স্বজন। তারা জীবিত নেই- এটা নিশ্চিত সবাই। চোখের সামনে ধসে পড়েছে ভবন। তার নিচে চাপা পড়ে নিহতের সঠিক খবর কারো জানা নেই। যারা বেঁচে আছেন, তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। কেউ হাত হারিয়েছেন। কেউ পা হারিয়েছেন। কেউ দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন।
আজ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আযহা। গাজাবাসীও ঈদ পালন করছেন। তবে তাদের মনে ভয়াবহ ক্ষত। নামাজের স্থান বলতে কোনো জায়গা নেই। চারদিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কংক্রিটের স্তুূপ। তার মধ্যে জায়নামাজ বিছিয়ে কোনোমতে নামাজ আদায় করেছেন তারা। কিন্তু আল আকসা মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে রয়েছে বিধিনিষেধ। এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি। তারপরও রাফার পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহতভাবে আগ্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। দিয়ের আল বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলছেন,ওইসব হামলায় আরও মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উত্তরেরর লোকজন শুধু অপ্রত্যাশিত বোমা হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন এমন না। একই সঙ্গে তাদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। তারা ভুগছেন পানিশূন্যতায় ও অনাহারে। ঈদের প্রথম দিনে এসব ঘটছে। বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবারকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারা আর্তনাদ করছেন। দিয়ের আল বালা থেকে আরেক সাংবাদিক তারেক আবু আজম বলছেন, কোনোমতে আশাকে সম্বল করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলের আগ্রাসন সত্ত্বেও তারা শিশুদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এমআই