নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে একশ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে। এছাড়া আলুর দাম উঠেছে ৬৫ টাকা প্রতিকেজি, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। কমেনি কাঁচা মরিচের ঝালও, বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। আরও বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনো চড়া।
এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ কম। মাত্র অল্প কয়েকটি দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ দেখা গেছে। আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে একই দামে।
অন্যদিকে বাজারে বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে দরদাম করলে কোনো কোনো দোকানে ৬০ টাকায় মিলছে।
ঈদুল আজহার আগে আগেই এবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। ওই দাম এখনো সেভাবে কমেনি। কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কিছুটা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
যদিও বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ দিন দিন বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমে আসবে। ঈদের সময় বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল।
বাজারের বেশিরভাগ সবজি চড়া দামে আটকে রয়েছে। প্রতিকেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কিছু। ওই দামের মধ্যে আছে পটল, ঢ্যাঁড়স, কাঁচা পেঁপে। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি। এছাড়া করলা ও বড় তালবেগুনের দাম ১০০ টাকা বা তার চেয়েও বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।
ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দামে খুব একটা স্বস্তি দেখা যায়নি। বড় মগবাজারে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম আকারের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং এক কেজির ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাক দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
সময় জার্নাল/এলআর