জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির শুরুতে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জাতীয় পতাকা, ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা এবং হল প্রাধ্যক্ষবৃন্দ নিজ নিজ হলের পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বর্ণিল বেলুন-ফেস্টুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উপাচার্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদ অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমরা অতীতের তুলনায় অনেকটা এগিয়েছি। আমরা আশা করবো আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আগামী ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা আরো উৎসবমুখর পরিবেশে, আনন্দের সাথে সেই প্রোগ্রাম করতে পারবো। এজন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে যে ক্যাশলেস ট্রান্সজেকশন সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাঁর একটি পূর্ব কর্মসূচি হিসেবে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাবি ক্যাম্পাসে ক্যাশলেস ট্রান্সজেকশন সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরণ হোক।ইতোমধ্যে স্বপ্ন অনেকাংশ পূরণ হয়ে গেছে। সামনে যে ৫ম শিল্প বিপ্লব আসছে তার চ্যালেন্জ মোকাবিলার জন্য যে দক্ষ জনশক্তি দরকার তা যেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে উঠুক। এবং তারা দেশ ও বিশ্ব গড়ার কাজে নিয়োজিত হোক।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত বুদ্ধি চিন্তার জায়গা এবং চিন্তা চেতনার কেন্দ্র। জ্ঞান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য। আমাদের টারশিয়ারি লেভেলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন ছিল। এখানে প্রথিতযষা শিক্ষকরা ছিলেন গুণী শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তাদের সবার সমন্বিত প্রয়াসে আমরা ৭১ বছর অতিক্রম করেছি। আমরা চাই এখানে জ্ঞানের একটি বৈপ্লবিক প্রবাহ ঘটক। যে প্রভাই থাকবে জ্ঞান সৃষ্টি।
সময় জার্নাল/এলআর