আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় অবস্থিত ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা লোকজন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডব থামছেই না।
শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল জাউনি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭৫ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বেসামরিক লোকজন, শিশু এবং নারীদের ওপর চলমান অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত নুসেইরাত শিবিরে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলে এর আগেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ ও কর্মসংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) একটি গুদামে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সংস্থাটির এক কর্মীসহ দুজন নিহত হন। ইউএনআরডব্লিউএ তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। মানবিক সংস্থার গুদামে কাজ করার সময় তিনি জাতিসংঘের জ্যাকেট পরেছিলেন। এরপরেও তিনি হামলার শিকার হন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েল।
প্রায় ৯ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৭ হাজার ৭০৫ জন।
মাসের পর মাস ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সময় জার্নাল/এলআর