বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মত আন্দোলন ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (০৭ জুলাই) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাধারন শিক্ষার্থীরা। এসময় মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চরপাথালিয়া হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এসময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। 'জ্বালরে জালো, আগুন জ্বালো' 'কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো', 'আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার', 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে', ' বাতিল চাই বাতিল চাই, কোটা প্রথা বাতিল চাই' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, কোটা প্রথার কারণে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা মূল্যায়িত হচ্ছে না। দেশের প্রশাসনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ না পাওয়াই দুর্নীতিতে ভরপুর সকল সেক্টর। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য গর্বের সেটাতে আমরা কোটা প্রয়োগ করে করুনা জায়গা বানিয়ে ফেলছি। এই কোটা প্রথা অযৌক্তিক। অবিলম্বে কোটা প্রথা বাতিল করা হোক।
এসময় শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবী না মানা হলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবার পাশাপশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষনা দেয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশে বেশ কিছু যানবাহন আটকরা পড়ে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এরপরই নতুন করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় কোটাবিরোধী আন্দোলন।
এমআই