সাইদুল ইসলাম:
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানানোয় তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে কলেজের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম ইব্রাহিম সাকিব। তিনি অনার্স তৃতীয় বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইব্রাহিম সাকিবের সহপাঠীরা জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ তৃতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল। তবে চলমান কোটা আন্দোলনে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সবাই। ক্যাম্পাসে শিক্ষকের সাথে আলোচনা করার পর তিনিও আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেন।
শিক্ষকরা জানান, তোমাদের পরবর্তীতে কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে নোটিশে জানানো হবে। এরপর আমরা সবাই ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। ইব্রাহিম সাকিব আমাদেরই বন্ধু। একসাথেই ছিলাম। বাসে আমরা উঠেও পড়েছি। শুধু ইব্রাহিম বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল।
ঐ মুহূর্তে অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাকিবকে কলার চেপে ধরে গেইটের ভেতর নিয়ে যায়। তার অপরাধ কোটা নিয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এরপর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সহপাঠীরা জানান, ছাত্রলীগের হামলায় ইব্রাহিমের মাথা ফেটে গেছে, পড়নের টি-শার্ট ছিঁড়ে গেছে। পুলিশের তিনজন সদস্যকে সেখানে লক্ষ্য করা গেলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে বন্ধুরা কয়েকজন মিলে তাকে বাসায় পৌঁছে দেন। কোটা আন্দোলনের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। যার কারণে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া কষ্টসাধ্য!
সময় জার্নাল/এলআর