বাগেরহাট প্রতিনিধি :
জলবায়ু উষ্ণতায় বাঘ ও সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকিতে। সুন্দরবন ভালো না থাকলে বাঘও ভালো থাকবে না। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বাঘের ভূমিকা সর্বাধিক। সুন্দরবন তার প্রধান অলংকার বাঘ রক্ষা করা একটি চ্যালেঞ্জ। সুন্দরবনের সন্নিকটে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন এবং খালে বিষ প্রয়োগের ফলে বাঘসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের স্মারক বাঘ কোনোভাবেই বিলুপ্ত হতে পারে না।
সোমবার সকালে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার কাইনমারিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পশুর রিভার ওয়ারটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে বনজীবীরা মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। বনজীবী সমাবেশ ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবনের জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হ্ওালাদার।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম-সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন, ১৯৩০-এর দশকে পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ এলাকার) ১৭ জেলার মধ্যে ১১ জেলাতেই বুনো বাঘ ছিল। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের অল্প কিছুসংখ্যক বাঘের কথা বাদ দিলে বলা চলে শুধু সুন্দরবনেই বুনো বাঘ টিকে আছে।
তিনি অরও বলেন, বন্য প্রাণী আইন অনুযায়ী বাঘসহ সুন্দরবনের সব প্রাণী রক্ষিত। এ আইন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি সাইটিসের আওতায় বাঘ শিকার এবং এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহার, বিপণন ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পরও সুন্দরবনে বাঘ শিকার ও পাচারে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি চক্র সক্রিয় আছে। বাঘ রক্ষায় বন বিভাগের ঘন ঘন টহল এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে চোরা শিকার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া বাঘের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মনিটরিং এবং বাঘ-মানুষের দ্বন্দ নিরসনের কার্যক্রম জোরদার ও বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সুন্দরবনের বনজীবী মো. জাহিদ ব্যাপারী, মো. শাহাদত ব্যাপারী, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার হেনা বেগম, জোসনা বেগম।
এমআই