ইবি প্রতিনিধি:
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ক্যাম্পাসের বটতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদ জানান। এছাড়া ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যারও জোর দাবি তোলেন তারা।
এর আগে সাড়ে ১২টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার ঘুরে বিক্ষোভস্থলে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ এর পরাজিত শক্তিরাই ভারতের দোসর। ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে তারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীতে যে বন্যা হচ্ছে, এই পানি বন্যার পানি নয়। এটা ষড়যন্ত্রের পানি, আমার সংগ্রামী ভাইদের হত্যা করার পানি। ভারতকে বলবো আপনারা বাংলাদেশকে আপনাদের শত্রু হিসেবে পরিণত করবেন না। এর পরিণাম ভালো হবে না।
তারা আরও বলেন, আমরা স্বৈরাচারের পতনের জন্য যেভাবে গণভবন অভিমুখে লংমার্চ করেছিলাম, প্রয়োজনে বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। আন্তর্জাতিক আইনে বাঁধ পরিচালনায় বাধ্য করবো। ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছাত্রজনতা আবরারের মতো নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতেও রাজি আছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো, ভারত যেন বাংলাদেশের দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে আপনি সে ব্যবস্তা গ্রহণ করুন।
এদিকে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচের ফেইসবুক পেইজ 'সংবর্ত-৩৬' থেকে ‘জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ’ নামে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থাপিকা গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জান্নাত মিম গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইবির মেইন গেইটে ‘লিল্লাহু তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান কেন দেওয়া হয়েছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তাকবির নিয়ে কটাক্ষ ও কালিমা লেপনের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে তাকবির মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও স্থানীয় শেখপাড়া বাজার ঘুরে প্রধান ফটকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এমআই