ইউনুস রিয়াজ, গবি প্রতিনিধি:
দেশের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা কবলিত এবং পানি বন্দি মানুষদের সহযোগিতায় সম্মিলতভাবে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ৯টি বিভাগ ও ২টি সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৮ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ত্রাণ সামগ্রী মোড়কজাত করে সম্পন্ন করা হয়েছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি।
প্রায় এক হাজার পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, ঔষধ, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে আজ রাতে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে বিভাগগুলোর সেচ্ছাসেবীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর মধ্যে ফার্মেসি, মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং, রাজনীতি ও প্রশাসন, ফলিত গণিত, রসায়ন, ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং সংগঠনগুলোর মধ্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি ও জিবি ব্লাড কালেক্টরস এ উদ্যোগে অংশ নিয়েছে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি-জিবিডিএস এর সভাপতি তৌসিফ ফারহান সুস্মিত বলেছেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে পানিবন্দি এলাকার মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ লক্ষ্যে আমরা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও বিভাগগুলো একত্রিত হয়ে সমন্বিত ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমাদের ত্রাণ সামগ্রীতে রয়েছে শুকনো খাবার যেমন চিড়া, গুড় ও টোস্ট বিস্কুট। এছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র যেমন দিয়াশলাই, সাবান ও মোমবাতি রয়েছে। আশা করছি, এই সকল সামগ্রী নিয়ে আমরা আজই রওনা হতে পারব, ইনশাআল্লাহ।"
বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রতিনিধি শরিফুল গনি উসমানি বলেছেন, " আমরা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি বিভাগ ও ২টি ক্লাব মিলে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন উপজেলায় ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে মূল সড়কের পাশের বাসা-বাড়ি এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে একাধিকবার ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু দুর্গম এলাকায় পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না। ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের অভাবে সকল দুর্গত মানুষের কাছে সমানভাবে সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না। তাই আমরা বিশেষভাবে সেইসব মানুষদের প্রতি নজর দেব যারা এখনও কোনো সাহায্য পাননি, এবং তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।"
প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভন্ন বিভাগ ও অনুষদ পৃথকভাবে বন্যার্তদের শুকনা খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেছেন।
এমআই