এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন (৭৫) সহ জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ১৫ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন মো. দিলদার হোসেন সবুজ (৫০) নামে এক ব্যক্তি। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোর্টটির বিচারক নাসিম মাহমুদ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের মিয়া।
ওই মামলায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর (৭০), শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী (৫৮), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জীবন (৩৫), সুপ্ত খান (২৮), সাদমান সৌমিক (২৭), অমিত সরকার সহ ১৫ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৩০-৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে যায়। ফুল দিয়ে ফেরার পথেই ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হুকুমে নেতাকর্মীদের ওপর উল্লেখিতরা হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র রামদা নিয়ে হামলা করে। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তৎকালীন আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলকে খুন করার উদ্দেশ্যে খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী ও সাইফুল ইসলাম জীবন রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে অন্যরা। এই হামলায় অভিযোগকারীও আহত হন এবং আহতরা পালিয়ে থেকে চিকিৎসা নেন বলে উল্লেখ করেন মামলায়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, 'অভিযোগটি দ্রুত বিচার আদালতের মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিচারক নাসিম মাহমুদ আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু করে তদন্তের জন্য ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।'
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, 'আদালতে একটি অভিযোগ হয়েছে শুনেছি। এখন কোর্ট থেকে থানায় প্রেরণ করলে তা রুজু করে তদন্ত করা হবে।'
এমআই