রেহানা পারভিন রিয়া, প্রধান শিক্ষক
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক - চতুর্থাংশ কিশোর - কিশোরী। এই কিশোর -কিশোরীদের শিক্ষা, জীবন দক্ষতা ও স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করছে দেশের সার্বিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
শিশু জন্মগ্রহণের পর থেকে পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। শিশুর প্রথম বুলি মায়ের কাছ থেকে শেখা। ধীরে ধীরে শিশু পারিবারিক আদর্শে বেড়ে ওঠে। শৈশব ও যৌবন - এই দুয়ের মাঝে কৈশোরকাল একটি সেতুর মতো কাজ করে।
তাই কৈশোরকাল শিশু জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিছুদিন আগে যে শিশুটি মা- বাবা ও পরিবারের ছোট্ট গন্ডির মধ্যে বেড়ে উঠেছিল - ধীরে ধীরে সে বাইরের পরিবেশে মিশতে শুরু করে। একই সময়ে তার শরীর এবং মনেও আসে নানা ধরনের পরিবর্তন। সবকিছু মিলিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করে সে।কৈশোরের শিক্ষা, জ্ঞান ও অভ্যাস তার পরবর্তী জীবনের উপর অনেকখানি প্রভাব ফেলে।
কাজেই বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে কিশোর কিশোরীদের যেমন সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন - তেমনিভাবে বাবা - মা, পরিবার তথা সমাজের সবাইকে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহযোগিতার জন্য এখনই এগিয়ে আসা জরুরি। এ সময়ে তাদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ। শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যগত দিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ দেহ সুস্থ মন তৈরি করে। তাই কৈশোর বয়সে তাদের সুস্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন করতে হবে।
শিশুর ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়ে তুলতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও আধুনিক করতে সরকারের জোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। জীবন গড়ার সূচনালগ্নে কোনো শিশু যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় - সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। প্রাথমিক স্তর থেকে শিশুর নীতি নৈতিকতার শিক্ষাসহ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ জাগ্রত করা উচিৎ এই বয়সেই।এ জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সকলের ভূমিকা অপরিহার্য।
লেখক:
প্রধান শিক্ষক
১২৩ নম্বর মোরেলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।
সময় জার্নাল/এলআর