বিনোদন প্রতিবেদক : চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে বোট ক্লাব কাণ্ডের আগের রাতে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবেও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ জুন পরীমনি ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ওই ক্লাবে গিয়ে গ্লাস ভাঙচুর করেন বলে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৭ জুন গভীর রাতে ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় আজ (বুধবার) রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা হয়নি। তবে পুলিশ নতুন করে ওই ঘটনা তদন্তে ক্লাব পরিদর্শনে যাবে।
এ বিষয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর জানান, গত ৭ জুন রাত ১টার দিকে ক্লাবে যান পরীমনি। তার সঙ্গে একজন পুরুষ আর একজন নারী ছিলেন। তিনি জানান, যেই সদস্যের মাধ্যমে ওইদিন পরীমনি ক্লাবে এসেছিলেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ক্লাবের অতিথির বিরুদ্ধে ক্লাব কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নেই। ক্লাবের সুনাম যেন ক্ষুণ্ন না হয় তাই থানায় কোনো জিডি বা অভিযোগ করা হয়নি।
জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা পরীমনি বলেন, এটা একটা ফালতু অভিযোগ। সেখানে (অল কমিউনিটি ক্লাব) কিছু হলে এতদিন পরে কেন এই অভিযোগ?
গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, ৭ জুন রাতে অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ ৯৯৯-এ ফোন করে ভাঙচুরের অভিযোগ করেন। তারপর ৯৯৯ থেকে গুলশান থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানায়। তারপর থানা থেকে আমাদের এক অফিসার সেখানে যান। গিয়ে দেখতে পান, সেখানে পরীমনিসহ আরও দুজন উপস্থিত ছিলেন। তারপর ঘটনাটি শেষ হয়। এ ঘটনায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।
এডিসি আরও বলেন, সাধারণত ৯৯৯ থেকে ফোন এলে বা আমাদের পুলিশ অ্যাকটিভি করলে আমরা ঘটনাটি নোট রাখি। সেভাবে নোট রেখেছি। কিন্তু জিডি বা মামলা যেহেতু করা হয়নি, সেহেতু আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বা হয়নি।
অভিযোগ কী ছিল, এমন প্রশ্নে নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, থানায় যে নোট রাখা হয়েছে, সেখানে কারণ উল্লেখ করা নেই। কিন্তু শুনেছি, তর্কাতর্কির ঘটনার জেরে ভাঙচুর ঘটেছে।
এর আগে গত ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিনেত্রী নিজেই অভিযোগ আনেন। রোববার (১৩ জুন) রাত পৌনে ১১টার দিকে বনানীর নিজ বাসায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন পরীমনি। তার আগে পরীমনির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে মুহূর্তেই তোলপাড় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ ঘটনায় মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ (৬৫), তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩), লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে ওই পাঁচজনকে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ওইদিন সকালে ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদসহ ছয়জনকে আসামি করে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমনি।
সময় জার্নাল/এসএ