সাহিদুর রহমান টেপা ::
দেশ আজ পরীমনি ইস্যূতে উত্তাল। কারণ, সে সেলিব্রিটি চিত্রনায়িকা। পর্দার আড়ালেও পর্দা থাকে। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সবাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এরচেয়ে ভয়ানক অন্যায় হচ্ছে সমাজে। দুই বছরের বাচ্চাসহ মাকে জবাই করা হচ্ছে। রাতে ও দিবালোকেও একটি পরিবারের সবাইকে নির্মমভাবে খুন করা হচ্ছে। একজন ইমাম কয়েকদিন যাবত নিখোঁজ সেদিকে যেনো নজর দেয়ার সময় কারো নেই। নজর পরীমনির দিকে।
একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলেই তা যাচাই না করেই তাকে গ্রেফতার করা সঠিক নয় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। পরীমনি ও অভিযুক্ত নাসির উদ্দীন মাহমুদের ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। কার অতীত ইতিহাস কি!
নাসির মাহমুদ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাবি'র মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছিলেন সলিমুল্লাহ হলের নির্বাচিত জিএস। দেশের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। উত্তরা ক্লাবের মত একটি দামি ক্লাবের একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি, যার ভোটার সমাজের এলিটশ্রেণীর মানুষ। বাংলাদেশের কোনো থানায় মামলাতো দুরের কথা তার বিরুদ্ধে কোনো জিডিও নেই। আর নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ?? মানুষ বিপদে পড়লে নাকি অনেকে সুযোগ নেন, পূর্বের নির্যাতিতারা পুনরায় বিচার চান। কই কেউতো বলেননি নাসির মাহমুদ আমার ক্ষতি করেছে, আমার সর্বনাশ করেছে। আর পরীমনির অতীত ইতিহাস সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। তার অতীত ইতিহাস ও উত্থান ফ্লিমপাড়া থেকে সচেতন সবাই জানে।
সম্মানীত ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির অনেক প্রতিপক্ষ ও শত্রু থাকা স্বাভাবিক। কেউ অভিযোগ করলে তা যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। পরে সেই ব্যক্তি নির্দোষ ঠিকই প্রমাণিত হয় কিন্তু মাঝখানে সমাজে ও পরিবারে তাকে ছোট হতে হয়। তাই আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো সম্মানিত মানুষকে অসম্মানিত করবেন না। তারা প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বড় অংকের কর দিয়ে থাকেন। অতীত মুল্যায়ন করে মানুষকে মূল্যায়িত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
লেখক : প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব, জাতীয় পার্টি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
সময় জার্নাল/এসএ