আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হেলেন ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। এই বিধ্বংসী ঝড়ের ফলে বিগ বেন্ড এবং আশপাশের এলাকায় অনেক গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। আবহাওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দিয়েছে।
হেলেন বিগ বেন্ডে আঘাত হানার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে অগ্রসর হয়। তখন ঝড়ের গতিবেগ কমতে থাকে এবং শুক্রবার বিকেলে এটি সাধারণ মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয়, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৩৫ কিমি হয়ে যায়।
ফেডারেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (ফেমা) তথ্য অনুযায়ী, হেলেন আছড়ে পড়ার পর ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত শক্তি ধরে রাখতে পেরেছিল। মার্কিন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৪তম বিধ্বংসী ঝড়, এবং এর প্রশস্ততা তৃতীয়।
বৃহৎ আকারের কারণে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার অনেক জায়গায় প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, রাজ্যে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প বলছেন, তার অঙ্গরাজ্যে নিহত ১৫ জনের মধ্যে একজন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন। বন্যার কারণে জর্জিয়ায় ১৫০টিরও বেশি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি অবস্থায় বিভিন্ন শহরের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধার করতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ডের ১ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দক্ষিণ ক্যারোলাইনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে। গভর্নর রয় কুপার জানিয়েছেন, সেখানে ১৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং প্রতিবেশী উত্তর ক্যারোলাইনায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
এমআই