মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২য় পর্যায়ে লক্ষ্মীপুরের আরও ৫শ’ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আগামীকাল রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সব গৃহহীনদের মাঝে জমির মালিকানার দলিল ও নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারী ১ম পর্যায়ে লক্ষ্মীপুরের ২শ’ গৃহহীনের মাঝে সরকারী ঘর এবং একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ১২০ টি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গৃহহীনদের মাঝে ঘর ও জমি হস্তান্তর উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় এসব তথ্য জানায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সফিউজ্জামান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-০২
প্রকল্পের আওতায় জেলায় মোট বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের সংখ্যা ১৭৮৬ টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৩১ টি, রামগঞ্জে ১৬৫ টি, কমলনগরে ৫শ’ টি এবং রামগতিতে ৫৭০ টি।
রবিবার হস্তান্তরের অপেক্ষায় থাকা ৫শ’ টি ঘরের মধ্যে জেলার কমলনগরে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে ৩৫০ টি ঘর। এছাড়া সদর উপজেলায় ৫০টি, রায়পুরে ৫০ এবং রামগঞ্জে ৫০ ঘর গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া ১৩০ ঘর নির্মাণ কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। প্রকল্পের জায়গায় মাটি ভরাট করা হয়েছে, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস কাজ করে গেছেন। দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিত ৪৩৫ বর্গফুটের সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে রয়েছে দু’টি কক্ষ, টয়লেট, রান্নাঘর এবং বারান্দা।
ভবিষ্যতে ঘরের কাঠামোতে কোন সমস্যা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেরামত করে দেওয়া হবে। এতে ঘরের বাসিন্দারের কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। তবে ভূমিহীন ব্যতীত অন্যকেউ যদি ঘর বরাদ্দ পায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এমআই