নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। রোববার এ কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় কমিশনের কর্ম পরিধি এবং কার্য পদ্ধতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য খুব শিগগিরই একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এবং দ্রুত একটি ওয়েবসাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অংশ নেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ এবং মো. মাহফুজ আলম। কমিশনের সদস্য ডক্টর শরীফ ভূঁইয়া ভ্রমণে থাকার কারণে অংশ নিতে পারেননি।
কমিশনের পরবর্তী বৈঠক ঢাকায় কমিশনের কার্যালয়ে আগামী ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ ভবন এলাকায় কমিশনের জন্যে কার্যালয় স্থাপনের কাজ চলছে।
সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত সংবিধান সংস্কার কমিশন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, আহত এবং নির্যাতিতদের; স্মরণ করছে স্বাধীনতা-উত্তরকালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা প্রাণ দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের। গত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিহত-আহত-নির্যাতিতদের কমিশন স্মরণ করছে।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তী পর্যায়ে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন কমিশন তাদের আত্মদানকে স্মরণ করে গভীর শোক প্রকাশ করছে। তাদের এই আত্মত্যাগ এবং বীরত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
কমিশন নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে এবং নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানায় গভীর সমবেদনা। এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, কমিশন সেই প্রার্থনা করছে।
সময় জার্নাল/তানহা আজমী