সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের টিএসসিসির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট নিরসনে টিএসসিসি পরিচালকের কাছে সংস্কারভাবনা তুলে ধরেছেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ (ঐক্যমঞ্চ)। সংস্কারভাবনাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক বাজেট বরাদ্দ দেওয়া ও টিএসসিসিতে অনুষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি প্রদানের হয়রানি বন্ধ করাসহ মোট ১৭টি দাবির বিষয়ে উল্লেখ করেন তাঁরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের সাথে ঐক্যমঞ্চের মতবিনিময় সভায় এ সংস্কার ভাবনা তুলে ধরা হয়। সভায় ঐক্যমঞ্চের আহবায়ক ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, সদস্য সচিব নাহিদুল ইসলাম, আবৃত্তি আবৃত্তির সভাপতি গোলাম রব্বানী ও ইবি সাহিত্য সংসদের সভাপতি পলাশ হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কার ভাবনাতে তাদের উল্লেখিত দাবিসমূহ হলো: ঐকামঞ্চের অধিভুক্ত সংগঠনগুলোর জন্য পর্যাপ্ত কক্ষ বরাদ্ধ করা, কক্ষ গুলোতে ওয়াইফাই, পর্যাপ্ত চেয়ার, টেবিল, ডেস্ক ও ডেকোরেশনসহ অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক বাজেট বরাদ্ধ দেওয়া, কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে ঐক্যমঞ্চকে বিবেচনায় নিয়ে উক্ত অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করা, টিএসসিসি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেকোনো স্থানে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করার ক্ষেত্রে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতেই সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা, ক্যাফেটারিয়া রাত পর্যন্ত সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল বাবস্থা গ্রহণ করা এবং খাবারের মান বৃদ্ধি ও সহজলভ্য করা, ঐক্য মঞ্চের অধিভুক্ত সকল সংগঠনের জন্য চার্জ ফ্রী সহ ১১৬ নং কক্ষে পর্যাপ্ত চেয়ার, টেবিল, সাউন্ড সিস্টেম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা, অডিটোরিয়ামের মধ্যের সাউন্ড সিস্টেম, মাল্টিমিডিয়া, চেয়ার, কার্পেট, এসি মেরামত করতে হবে ও সংগঠনগুলোর ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত চার্জ কমাতে হবে, ক্যাম্পাস বন্ধের দিনেও টি এস সি সি তে অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য অনুমতি দিতে হবে, টিএসসিসিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ওয়াশ রুম গুলো উন্মুক্ত করতে হবে ও সবসময় পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, নিচ তলায় স্থাপিত লোহার গ্রীল গুলো অপসারন করে উন্মুক্ত করা, টিএসসিসি তে কোনরূপ ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না ও গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত কক্ষ গুলো স্থানান্তর করা, টিএসসিসির অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের অনলাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য উপযুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো ও অডিটোরিয়ামে একাধিক স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা, অডিটোরিয়ামে এলইডি বাতি স্থাপন ও টিএসসিসির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এর অভ্যন্তরে এবং চারিদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বৃক্ষরোপণের দাবি জানান তারা।
সভায় উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে টিএসসিসি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ সকল সমস্যা সমাধানে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের যে সকল সংস্কার ভাবনা জানিয়েছে এগুলো যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করব। আমরা ইতোমধ্যে টিএসসিসিতে ওয়াইফাই উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অত্যন্ত সংস্কার মনা একজন মানুষ। আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে টিএসসিসি শিক্ষার্থীদের জন্য সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
এমআই