কে এম শাকীর,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক চাঁদ খোসাল মসজিদের দান বাক্স থেকে দশ লক্ষাধিক টাকা ব্যাংকে জমা করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে ওই মসজিদের দান বাক্স খুলে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন দেশের রাজনৈতিক জঠিলতা ও প্রশাসনের রদ বদলের কারণে মসজিদের দান বাক্স খোলা না হওয়ায় দান বাক্সের ভিতরে থাকা অনেক টাকা নষ্ট হওয়ার পর্যায়ে পড়েছে। বুধবার ওই মসজিদের সভাপতি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হকের উপস্থিতিতে দান বাক্স খোলা হয়। মসজিদ কমিটির প্রায় ২০ জন সদস্য সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী সকল টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে গণনা করেন। গণনা শেষে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় জমা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম,পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মকছুদার রহমান বিএসসি,উপজেলা জামায়াতের টিম সদস্য ডাঃ মোশাররফ হোসেন বকুল,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিম, সাংবাদিক কে এম শাকীর, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
প্রায় ৩শ বছর আগের পুরাতন মসজিদটিতে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ শুক্রবার জুমআর নামাজ আদায় করতে আসে এবং গরু, ছাগল,হাঁস,মুরগী,ডিম,দুধসহ টাকা পয়সা দান করেন। অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও এই মসজিদে হাঁস,মুরগী ও ছাগল মান্নত করে থাকেন। বিশেষ করে শুক্রবার মসজিদে জুম'আর নামাজ শেষে মিলাদ ও দোয়া শেষে তবারক নিতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। অনেকে তবারক নিয়ে যায় বাড়িতে। বাড়ির কোন মানুষ অসুস্থ থাকলে তাকেও এই তবারক নিয়ে খাওয়ান সুস্থতার জন্য।
মসজিদটি প্রাচীন কাল থেকে ৩ গম্বুজ অবস্থায় এখনও আছে। তবে মসজিদ কমিটির দাবী এই পুরাতন মসজিদের অবকাঠামো ভেঙে ফেলে নতুন করে ৫ তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ নির্মাণ করার। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক বলেন,পূর্বের উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এই মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য একটি পরিকল্পনা করেছে। আমি বর্তমান মসজিদ কমিটির সদস্যদের পরামর্শ নিয়ে উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ গ্রহন করবো।
তানহা আজমী