গোলাম আজম খান, কক্সবাজার: শর্তসাপেক্ষে আগামী ২৪ জুন থেকে সীমিত পরিসরে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়া হচ্ছে। তাও পর্যটকদের জন্য নয়, সরকারি-বেসরকারি দাপ্তরিক কাজে যারা কক্সবাজার যাবেন তাদেরকে হোটেল মোটেলে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হবে। তবে পর্যটনকেন্দ্র যথারীতি বন্ধ থাকবে।
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসন থেকে এ সিদ্বান্ত জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ জানান, পর্যটন সংশ্লিষ্ট লোকজনের দাবির মুখে সীমিত পরিসরে হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য নয়, শুধু সরকারি-বেসরকারি অত্যাবশ্যকীয় দাপ্তরিক কাজে যারা কক্সবাজার আসবেন তাদের জন্য এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো পর্যটককে হোটেল কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল, সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা হোটেল মোটেলসহ কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার দাবি করে আসছে।
মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, তবে পর্যটকদের জন্য নয়, শুধু সরকারি-বেসরকারি অত্যাবশ্যকীয় দাপ্তরিক কাজে যারা কক্সবাজার আসবেন তাদেরকে হোটেল মোটেলে কক্ষ ভাড়া দিতে পারবেন। তবে কোনো পর্যটককে হোটেল মোটেলের কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। কেউ যদি শর্ত না মেনে পর্যটকদের রুম ভাড়া দেয়, তাহলে ওইসব হোটেল মোটেল বন্ধ করে দেয়া হবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে হোটেল কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না, হোটেলের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে, প্রতিটি হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল পরিচালনা করতে হবে। এছাড়াও আরও নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে সীমিত পরিসরে হোটেল-মোটেল খোলা যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে হোটেল মোটেল খোলার ব্যাপারে প্রাথমিক পর্যালোচনা হয়েছে। আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সব বিষয় পর্যালোচনার পর এটি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
সময় জার্নাল/এমআই