নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও ফ্যাসিবাদের দোসরদের শেকড় অনেক গভীরে রয়ে গেছে বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে অফিসার্স ক্লাবে গণঅভ্যুত্থানের ৩ মাস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে বসতে পারছি, কথা বলতে পারছি। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন।
‘ফেসবুকে একটা পোস্ট দিতে গেলে এখন আর বারবার ভাবতে হচ্ছে না, ব্যাকস্পেস দিয়ে কেটে দিতে হচ্ছে না’ উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা ভয়হীনভাবে আলোচনা-সমালোচনা করতে পারছি। রাষ্ট্র পুনর্গঠনে নিজেদের মতামত দিতে পারছি। সংস্কার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছি।
‘আমরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছি এ দেশের মানুষকে নিয়ে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার। আমরা সবধরনের ফ্যাসিবাদীদের উপকরণ মুছে ফেলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। শুধু ২৪ জন উপদেষ্টা এবং একজন প্রধান উপদেষ্টাই কিন্তু সরকার না। আপনারাও সরকারের অন্যতম অংশ। আমাদের কাজ হচ্ছে পলিসিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর বাস্তবায়নের কাজ হচ্ছে মূলত আপনাদের,’ বলেন তিনি।
বিগত সময়ে যে ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল, তাদের পলিসি গুলোই ছিল গণবিরোধী, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং মানুষের জীবন নেয়ার মতো পলিসি ডিসিশন তারা দিয়েছে এবং প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে।
অফিসার্স ক্লাবে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে উপদেষ্টা বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আপনারা মতামত দিবেন। কীভাবে সংস্কার করলে বা কাঠামোগত পরিবর্তন করলে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রশাসনে এতটা দলীয়করণ সম্ভব হবে না, ভবিষ্যতে এতোটা দলদাসের মতো কার্যক্রম হবে না, জনবিরোধী অবস্থান নিবে না সেটা নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের মতামত দেবেন।
গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে ধারণ করার আহ্বান জানান তিনি।
জনকল্যাণমূলক কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় দোসরদের বের করে দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে।
এমআই