মোঃরেজাউল করিম রেজা,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং ৪৬.০০.০০০০.০০০.০১৭.৯৯.০০৪৪.২২-৮০৫, তারিখঃ ০৬/১০/২০২৪ইং এর মুলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গণের উপস্থিত/অনুপস্থিত থাকার প্রতিবেদন চাওয়া হয়। উক্ত পত্রের আলোকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৬নং শৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ০৫/০৮/২০২৪ইং এর পর থেকে টানা ৬০ দিন অনুপস্থিত এবং ০২ দিন উপস্থিত দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মোঃ মিনারুল হক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বিষয়টি জানার পর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে হাট-বাজার ইজারা লব্ধ আয়ের অংশ ৫% টাকা উত্তোলনের জন্য ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে চেক বইয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু কোন প্রকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় সচিব চেকে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে চেয়ারম্যান প্রশাসনিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়াই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তার মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। আবারও চেয়ারম্যান জোর পূর্বক ১% এর অর্থ উত্তোলনের জন্য ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তার (সচিব) নিকট একটি চেকের পাতায় স্বাক্ষর নেন। সেটারও কোন প্রকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান সচিব কে হয়রানীর উদ্দেশ্যে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা হতে বিরত রাখেন এবং রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখিয়ে অভিযোগ করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান এবং সচিবের দ্বন্দে শৌলমারী ইউনিয়ন বাসী সমস্ত সেবা পরিসেবা থেকে বঞ্চিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।
তানহা আজমী