সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী,বাকৃবি প্রতিনিধি:
কৃষিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বাকৃবির খামার ব্যবস্থাপনা শাখা এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১৬ লাখ কেজি বীজধান বিএডিসি ও বিনার সহায়তায় অদ্যাবধি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যা প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার একর জমিতে বীজ হিসেবে বপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) খামার ব্যাবস্থাপনা শাখার আয়োজনে আমন বীজ ধান কর্তন ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বাকৃবি খামার ব্যবস্থাপনা শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মো. জিয়াউর রহমান।
তিনি আরো জানান, সরবরাহকৃত বীজ থেকে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ কৃষক সরাসরি বীজ ধান পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া বাকৃবি খামার ব্যবস্থাপনা শাখা ৩ লাখ ৪০ হাজার কেজি গমের বীজ প্রায় ৫ হাজার ৬শত ৬৭ একর জমিতে বিএডিসির মাধ্যমে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যাবস্থাপনা শাখার মাঠে বীজ ধান কর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মো. জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক , কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার ও সাধারণ সম্পাদক ড মো. আসাদুজ্জামান সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও খামার ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ধান মাড়াই এবং আপ্যায়ন বাংলাদেশের কৃষকের চিরায়ত প্রথা। আমরা শুধুমাত্র শিক্ষা প্রদান করি, এমন নয়। রোগ সহিষ্ণু উন্নতমানের ফসলের বীজ, সার, কীটনাশক, ঘাসের কাটিং, উন্নত সংকর প্রাণী এবং প্রাণিজ পণ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে বাকৃবি। আমাদের কৃষিবিদদের কারণেই দেশের কৃষিখাত আজও ঊর্ধ্বমুখী। কৃষিখাতে আমাদের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
তানহা আজমী