জেলা প্রতিনিধি:
হেমন্তের শেষ সময়ে অনেকটাই বেড়েছে শীতের পারদ। তাপমাত্রা নেমেছে ১৪ ডিগ্রিতে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত অঞ্চলে পঞ্চগড় অবস্থান হওয়ায় পাহাড় হতে প্রবাহিত হিম বাতাসে বাড়াচ্ছে শীতের পরশ।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মৌসুমী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, এই তিনদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত কাঁথা ছাড়া ঘুমানো যাচ্ছে না।
ভোর থেকে দেখা যায়, ভোরে কাজ শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রমিক, দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালক এবং কৃষকরা। শীতের কারণে শীতজনিত রোগও বেড়েছে। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
পঞ্চগড়, বিশেষ করে তেঁতুলিয়া, হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত, তাই শীতের তীব্রতা অন্য জেলার তুলনায় অনেক আগে থেকেই অনুভূত হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে শীতের তীব্রতা থাকে বেশি। শীতের শুরুতেই বাজারে ভাপা, চিতুয়া, পৌকন পিঠার বিক্রি শুরু হয়েছে।
এমআই