নিজস্ব প্রতিবেদক:
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে এটি একটি বৈশ্বিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এজন্য চিকিৎসক, ভেটেরিনারিয়ান, ফার্মাসিস্ট, নীতিনির্ধারকসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি) আজ শনিবার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সচেতনতা সপ্তাহ পালনে একটি সেমিনারের আয়োজন করে। ‘জানাও, প্রচার করো এবং এখনই কাজ শুরু করো’ স্লোগানে এই সেমিনারে ছিলেন দেশের নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকেরা।
সেমিনারে এএমআরে টিকার ভূমিকা, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং এএমআরের হুমকি মোকাবিলায় এক স্বাস্থ্যপদ্ধতির প্রয়োগসহ জটিল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা যুগান্তকারী গবেষণা, জাতীয় গবেষণার ফলাফল এবং এএমআর মোকাবিলার উদ্ভাবনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। সেমিনারে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করা, জিন নকশাভিত্তিক গবেষণার অগ্রগতি, টিকার উন্নয়নের প্রচার এবং মানব, প্রাণী এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যের বিবেচনা করে এমন একটি পন্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইদেশির সিওও ডা. রফিকুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির ওয়ান হেলথ ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, আইদেশির রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর সঞ্চিতা কর, আইসিডিডিআরবির গোলাম দস্তগীর।
অনুষ্ঠানে এএমআর ও টিকার ওপর আলোচনা করেন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী।
আরও বক্তব্য দেন তানবীর হাবিব, অধ্যাপক নিকোলাস রবার্ট থমসন, মুশতাক আহমেদ, অধ্যাপক ডা. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ।
তানহা আজমী