সাইফ ইব্রাহিম,ইবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে ইসকনের সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ অংশ নেয়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদেরকে 'ইসকনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'ইসকনের ঠিকানা,এই বাংলায় হবে না', ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ইসকনের ফাঁসি চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকে পড়ন্ত বিকেলে চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় যে নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তাতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্ব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ইসকনের সদস্যদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ২৪ এর ছাত্রজনতা আবারও জাগ্রত হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে বিফল করার জন্য ভারতীয় সংগঠনগুলো উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। যার অংশ হিসেবে ইসকন আজ এই আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছে। ২৪ এর ছাত্রসমাজ এই ষড়যন্ত্রকে কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। ইসকনকে এই বাংলার মাটির সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেব না। পতিত স্বৈরাচার ভারতে বসে ইসকনের মাধ্যমে এই কাজগুলো করতেছে। গত ১৬ বছর সে আমাদের দেশকে বিকিয়ে দিয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে আমরা যুদ্ধ করছি। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা যুদ্ধের মূল পর্বে অবতীর্ণ হয়েছি। পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র যতদিন চলবে আমাদের সংগ্রামও ততদিন চলতে থাকবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, হিন্দু আর মুসলমান ভাই ভাই। এদেশে সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে কোনো বাঁধা নেই। কিন্তু ইসকন নামের কোনো সংগঠনের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না। ইসকন নেতা চিন্ময় একজন ধর্ষক, লম্পট, মন্দির দখলকারী, হিন্দুদের জায়গা দখলকারী। তাকে যারা অনুসরণ করে তারা কখনও সাধারণ হিন্দু হতে পারে না। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নামের কিছু কুচক্রী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হিন্দু ধর্মের ব্যানার ব্যবহার করে যারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের সাথে আমাদের কোনো আপোষ নেই। এই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তানহা আজমী