এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে বর্তমানে কোনো রকম ভোগান্তি আর হয়রানি ছাড়াই মিলছে কাঙ্খিত সেবা।
দালালদের দৌরাত্ম্য একেবারেই নেই এখানে। দালাল ছাড়াই যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো সময় নির্বাচন অফিসে গিয়ে সরাসরি কর্মকর্তার কাছ থেকে নতুন ভোটার ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সব ধরণের সেবা নিতে পারছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে নানা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুর রহমান যোগদানের পর থেকেই অফিসকে দালালমুক্ত এবং গ্রাহককে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা ছাড়াও পাল্টে গেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসের চিত্র। এই অফিসার সালথায় যোগদানের পূর্বে নির্বাচন অফিস নিয়ে জনগণের অনেক অসন্তোষ ও অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে সালথা উপজেলার জনগণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট এবং গর্বিত।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি হেল্পডেস্ক করা হয়েছে। হেল্পডেস্ক থাকাতে সেবাভোগীরা কাজের তথ্যাদি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছেও অনেক প্রবাসী ভোটার সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সেবা পেয়ে থাকেন। রয়েছে বসার ব্যবস্থাও। কোনো ধরনের ঘুষ বানিজ্য বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই মিলছে কাঙ্খিত সেবা। সার্বক্ষণিক মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচন অফিসার।
সেবা নিতে আসা মনি মুন্সী, চাদনী আক্তার, সারাফাত মাতুব্বর ও সাকিব মিয়া, আইরিন সুলতানা জানান, 'আমরা এনআইডি কার্ড সমস্যা নিয়ে আসলে নির্বাচন কর্মকর্তা দ্রুত সমাধান করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ নির্বাচন অফিসে আসলে ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত সেবা পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইমরানুর রহমান জানান, অন্যান্য উপজেলার মতো সালথায় সংশোধন ও নতুন ভোটারের প্রচুর চাপ আছে। বিগত ৭ মাসে এখানে প্রায় ১৯০০ ভোটার, প্রায় ৬০০ মাইগ্রেশন, প্রায় ১৫০০ জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও খ,গ ও ঘ ক্যাটাগরির আবেদনের প্রায় ১৫০ তদন্ত সম্পন্ন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আমি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করে ফেলি। এ ক্ষেত্রে কারও সুপারিশ বা কোনো দালালের ছত্রছায়া নির্বাচন অফিসে জায়গা পায়নি।
সময় জার্নাল/এলআর