নিজস্ব প্রতিবেদক:
৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে জামিল হোসেন ও সামিরা জাহান দম্পতির একমাত্র সন্তান শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহিন,বয়স ১৬,ছররা গুলিতে নিহত হয় ।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের পাঁচতলা ভবনের চারতলার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয় নাঈমা সুলতানা,বয়স ১৫। সেদিনও সে আঁকছিল সে।এক ফাঁকে মাকে বলল, সে বারান্দায় যাচ্ছে শুকনা কাপড় আনতে।নাঈমা বারান্দার দরজাটা খোলামাত্রই গুলিটা এসে তার মাথায় ঢুকে যায়।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ও আইনুন নাহার দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে নাঈমা ছিল দ্বিতীয়। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ছিল। আইনুন নাহার জানান, সন্তানদের ভালো পড়াশোনা করাতে ওদের বাবা ওদের ঢাকার স্কুল-কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন। অথচ ঢাকায় এসে সন্তানকে হারাতে হলো। উত্তরায় ভাড়া বাসায় তিনি তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। নাঈমার বাবা গ্রামেই থাকেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া কিশোর শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ,বয়স ১৭।গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিতে নিহত হয়। মা-বাবাকে সে সব সময় বলত, বড় হয়ে এমন কিছু করবে, যার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে গর্ব করবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে মোট ১৩২ শিশু–কিশোর এবং ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন।এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত ৮৬৫ জনের মৃত্যুর তথ্য ডেটাবেজে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮২ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্যে মৃতের সংখ্যা ৮৬০ বলা হয়েছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, শহীদ ১১ নারীর মধ্যে রয়েছেন মায়া ইসলাম, মেহেরুন নেছা, লিজা, রিতা আক্তার, নাফিসা হোসেন মারওয়া, নাছিমা আক্তার, রিয়া গোপ, কোহিনূর বেগম, সুমাইয়া আক্তার, মোসা. আক্তার ও নাঈমা সুলতানা।
তানহা আজমী