বুধবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে আজ বুধবার। এতে ক্ষমতা কাঠামো, সংসদের ধরনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাবনা থাকছে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি ক্রমশ জোরালো হয়ে ওঠে দেশটিতে। সেই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংস্কারে ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর 'বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে' অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে নয় সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
তিন মাস ধরে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করে কমিশন। প্রায় এক লাখ লোকের মতামত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সেই সাথে তারা বিভিন্ন দেশের সংবিধানও পর্যালোচনা করেন।
এসবের ভিত্তিতে পাঁচ খণ্ডের প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
প্রথম খণ্ডে রাখা হয়েছে সুপারিশ এবং সুপারিশগুলোর যৌক্তিকতা। বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রাপ্ত মতামত রাখা হয়েছে বাকি চার খণ্ডে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবনা তৈরি করার ক্ষেত্রে ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ রোধ, ভারসাম্যপূর্ণ বণ্টন, জবাবদিহিতা, রাষ্ট্র পরিচালনায় সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মত বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘কিছু মতভেদ থাকলেও সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ব্যাপারেও আমি আশাবাদী।’
কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের পাঁচটি মূল দিক তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
সময় জার্নাল/এলআর